Sunday, April 20, 2025

থাকছে না কোনো ভিন্নতা, একই পোশাক পরবেন সব পুলিশ সদস্য°

আরও পড়ুন

পুলিশ বাহিনীসহ র‍্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তন হচ্ছে। গতকাল (সোমবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এর প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর মূল পোশাকই পরিধান করবে বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ সদস্যরা। আগের মতো আর ইউনিট অনুযায়ী আলাদা পোশাক থাকবে না।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

পুলিশের পোশাকের সঙ্গে কি ডিএমপির পোশাকও বদলাচ্ছে, জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশসহ র‌্যাব ও আনসারের পোশাক বদলাচ্ছে। গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিন বাহিনীর জন্য আলাদা পোশাকের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনের পর তা কার্যকর হবে। তবে বাহিনী হিসেবে পুলিশের পোশাক বদলালেও ইউনিটে তা বদলাচ্ছে না। যা আছে তা-ও থাকছে না। অর্থাৎ বদলে যাওয়া নতুন পোশাকই পরিধান করবে পুরো বাহিনীর সদস্য। আমরা সবাই একই পোশাক পরব।

আরও পড়ুনঃ  কারফিউ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স : ডিএমপি কমিশনার

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, পুলিশের দুই লাখ সদস্য আছে। এ ছাড়া ১৯ হাজার সিভিল স্টাফও আছে। বিভিন্ন ইউনিটে আগে পোশাকের ভিন্নতা ছিল। এটি কার্যকর হওয়ার পর আর বিভিন্ন ইউনিটে পোশাকে কোনো ভিন্নতা থাকবে না

ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিক রিক্সা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ব্যাটারিচালিত রিক্সার সংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে সামনের দিনগুলোতে আর ঘর থেকে বের হতে পারব না। মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহনসহ বিভিন্ন জায়গায় একই কথা বলছি। রিক্সা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আমিই বেশি কথা বলছি। চিঠিও দিয়েছি। কীভাবে লাইসেন্স দিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, ট্যাক্স আদায় করা যায় এবং একই সঙ্গে সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

আরও পড়ুনঃ  ঢাকা চাইলে হাসিনাকে হস্তান্তর করতে পারে দিল্লি

সমস্যা সমাধানে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এটা সত্য যে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত লোকজন এটাকে ইনকামের সোর্স বানিয়েছে। সব শহরেই টেক্সি আছে। তারা কিন্তু সংখ্যা বৃদ্ধি করেনি। বরং এর লাইসেন্স খরচা অনেক বেশি। কিন্তু আমাদের ব্যাটারিচালিত রিক্সা বাড়ছে। এটা নিয়ন্ত্রণে আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের সড়ক, শহরের ক্যাপাসিটি অনুযায়ী এর নিয়ন্ত্রণমূলক অনুমোদন দিতে পারি। আমরা ১০০ বা ২০০ টাকার বিনিময়ে প্রাথমিকভাবে লাইসেন্স ফি নির্ধারণের কথা বলেছি। এটা থাকলে বোঝা যাবে কোনটা বৈধ আর কোনটা বৈধ। কোনটা ঢাকার আর কোনটা ঢাকার বাইরের।

আরও পড়ুনঃ  ভুট্টাখেতে মিলল প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ

তিনি বলেন, লাইসেন্সের আওতায় আনতে না পারলে কিন্তু কোনোভাবেই ব্যাটারিচালিত রিক্সা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। আমাদের সেই জায়গায় যেতে হবে। কোনো দেশে এটা সম্ভব নয় যে, আপনি রাস্তা ব্যবহার করবেন কিন্তু ট্যাক্স দেবেন না।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ