Sunday, April 13, 2025

ডিএমপিতে প্রায় ২৫০ হত্যা মামলা : বাদী চেনেন না আসামিকে, আসামিও জানেন না কিছু

আরও পড়ুন

গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এরপর থেকে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ নেতাসহ ক্ষমতাধরদের নামে মামলা হয় বিভিন্ন থানায়।

ডিএমপির তথ্য মতে, ৫ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় দেড় মাসে রাজধানীর থানাগুলোতে হত্যা মামলা হয়েছে ২৪৮টি। চ্যানেল 24 এর অনুসন্ধান বলছে, এসব মামলার বেশিরভাগ এজাহার একই ধরনের। প্রথম ১০ থেকে ২০ জন আসামি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাসহ প্রভাবশালী কিছু পুলিশ কর্মকর্তা। এসব মামলায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাদী চেনেন না আসামিকে; আসামিও বাদীর নাম শোনেননি কখনও।

গত ২৫ আগস্ট ঢাকার দোহার থানায় হয় তেমনি একটি মামলা। এজাহারে থাকা ঠিকানার সূত্র ধরে আসামির খোঁজ করে চ্যানেল 24। অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজনৈতিক পরিচয় না থাকা অভিযুক্ত ষাটোর্ধ্ব এই ব্যক্তি দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের একজন। তিনি দাবি করেন, গত ১০ বছরেও দোহার যাননি।

আরও পড়ুনঃ  পুলিশ বাহিনীর সংস্কারে যুক্তরাজ্য থেকে আসছে বিশেষজ্ঞ দল

তিনি আরও বলেন, ব্যবসা করি জীবনভর, সে হিসেবেই সরকারে যেই থাকে তাদের সঙ্গেই আমাদের সখ্যতা থাকে। কিন্তু আমরা কোনো রাজনীতি করি না, কখনও করিও নাই। আমার নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে, অথচ গত ১০ বছরে আমি দোহার যাইনি। কেন কিভাবে কিছুই বুঝতে পারছি না। সরকারের কাছে আবেদন করব আমাদের যেন এভাবে অপদস্থ না করা হয়।

এই শিল্পপতিসহ ১৭৪ জনের নামে মামলার বাদী শাজাহান মাঝি। যাদের অধিকাংশকেই চেনেন না তিনি। তাহলে কেন করলেন মামলা। এমন প্রশ্নের উত্তরে চ্যানেল 24-কে তিনি জানান, রাজনৈতিক মামলা তাই সবাইকে চেনেন না, নেতারা যাদের নাম দিয়েছে তাদের নামই মামলায় উল্লেখ করেছেন।

আরও পড়ুনঃ  শিশু সন্তানের গলা কেটে করোতোয়ায় ফেললেন বাবা

গেল ২ সেপ্টেম্বর একই ধরনের একটি মামলা হয় রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায়। আসামি বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী। যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি অভিযুক্তের। এ বিষয়ে বাদী ফরিদা ইয়াসমিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে গণহারে এমন মামলায় প্রকৃত দোষীরা পার পেয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা করছেন ব্যারিস্টার শাহেদ আজিম। সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, ভিন্ন মত পোষণের জন্যেই যেন কোন মামলা না হয়, এটাই আমরা আশা করি।

আরও পড়ুনঃ  আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে যে কথা হলো এরদোগান-হানিয়ার

পুলিশ বলছে, বিনা অপরাধে কেউ শাস্তি পাবে না। এ বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, কে দোষী এবং কে নির্দোষ সেটি খুঁজে বের করার জন্যেই প্রাথমিকভাবে তদন্ত করতে হবে। তদন্তের ফলেই যে দোষী থাকবে আর যে নির্দোষ সে মামলা থেকে বাদ যাবে।

অযথা কাউকে হয়রানি করা হবে না বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ