Sunday, April 13, 2025

৮১ বছরে পা দিলেন আব্দুল হাদী

আরও পড়ুন

দেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী। অডিও কিংবা চলচ্চিত্র; তার গানে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে কয়েক দশক। তার গান শ্রোতাদের হৃদয়কে আন্দোলিত করে। প্রেমে মাতাল করে, বিরহে দেয় শীতলতার স্পর্শ।

এই গায়কের আজ জন্মদিন।

১৯৪০ সালের ১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার শাহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই সংগীতশিল্পী। সে হিসেবে আজ তিনি ৮১ বছরে পা দিলেন।

সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এই কিংবদন্তি আরও বলেন, ‘জীবনের এতগুলো বসন্ত পার করতে পেরেছি এজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। আমাকে নিয়ে সবার এখনও যে উচ্ছ্বাস দেখছি, এটা আনন্দের বিষয়। দোয়া চাই সবার।’

আরও পড়ুনঃ  কোরআন স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ, স্পষ্ট ও সুন্দর: উইল স্মিথ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জন্ম নিলেও সৈয়দ আব্দুল হাদীর বেড়ে ওঠা ভিন্ন ভিন্ন স্থানে। যেমন- আগরতলা, সিলেট, কলকাতা ও ঢাকায়। শিল্পী মনে করেন, শৈশব থেকে তিনি নানা সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেছেন বলেই নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পেরেছেন।
‘যেও না সাথী’, ‘চক্ষের নজর এমনি কইরা’, ‘একবার যদি কেউ ভালোবাসতো’, ‘চলে যায় যদি কেউ’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো’, ‘আছেন আমার মোক্তার’, ‘এমনও তো প্রেম হয়’, ‘যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে’, ‘চোখ বুঝিলে দুনিয়া আন্ধার’- সিনেমার সূত্র ধরে এমন অসংখ্য কালজয়ী গানের জন্ম হয়েছে সৈয়দ আব্দুল হাদীর কণ্ঠে।

আরও পড়ুনঃ  যে কারণে মুসলিমকে বিয়ে করতে চান নোরা ফাতেহি

এই শিল্পী স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন বাংলা সাহিত্যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

ষাটের দশক থেকে শুরু হয়েছিল সৈয়দ আব্দুল হাদীর গানের ক্যারিয়ার, যা অব্যাহত আছে এখনও। রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, ক্যাসেট, অনলাইনসহ প্রতিটি মাধ্যমে রয়েছে তার সফল বিচরণ। গানের পাশাপাশি টিভি অনুষ্ঠান প্রযোজনা, উপস্থাপনা, শিক্ষকতাসহ আরও বেশকিছু পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তবে গান তার জীবনের বড় অধ্যায় রচনা করেছে। গানের জন্য পেয়েছেন একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, রাষ্ট্রীয় একুশে পদকসহ নানা পুরস্কার ও সম্মাননা।

আরও পড়ুনঃ  টাইমস স্কয়ারের ডিজিটাল বোর্ডে মমতাজ ও জায়েদ খান

তার একমাত্র কন্যা তনিমা হাদীও গানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

সুত্রঃ একুশে বার্তা

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ